মুক্তাঙ্গন

rss-posts rss-comments
  • ব্লগবাড়ি
  • ইতিবৃত্ত
    • কৃতজ্ঞতা স্বীকার
  • লিখতে আগ্রহী?
    • সম্পাদনা ও মডারেশন
    • লেখক ক্যালেন্ডার
  • কারিগরি সাহায্য
    • Bangla Settings
    • Keyboard layouts
    • কারিগরি জিজ্ঞাসা
    • সমস্যা রিপোর্ট করুন
  • লেখক তালিকা
  • পোস্ট আর্কাইভ
  • আনবাড়ি
  • যোগাযোগ

লেখক পরিচিতি

সংশপ্তক

নির্যাতনের জন্য কখনো কোনো অজুহাত থাকতে পারে না

লিখেছেন: সংশপ্তক | ১৭ নভেম্বর ২০০৮ |

বিষয়: নির্যাতন, মানবাধিকার | ইমেইল / প্রিন্ট: Email This Post Print This Post

নির্যাতন ও অন্যান্য নিষ্ঠুর, অমানবিক বা অবমাননাকর আচরণ, যেমন দাসত্ব ও গণহত্যা, সবসময়ই ভুল৷ এই নীতি বহু বছর আগেই প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে, এবং আন্তর্জাতিক আইনে সন্নিবেশিত করা হয়েছে৷ মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণা-এর অনুচ্ছেদ ৫ অনুযায়ী সবার অধিকার রয়েছে নির্যাতন ও নিষ্ঠুর, অমানবিক বা অবমাননাকর আচরণ বা শাস্তির (‘অন্যান্য নিষ্ঠুর-আচরণ’) হাত থেকে মুক্ত থাকার৷

এ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের ২০০৮ সালের প্রতিবেদনে দেখা যায় যে জাতিসংঘ কর্তৃক ঘোষণাপত্রটি গৃহীত হওয়ার ৬০ বছর পরে, এখনো সারাবিশ্বজুড়ে মানুষ নির্যাতন বা নিষ্ঠুর-আচরণের শিকার হচ্ছে৷  প্রতিবেদনটি ৮১টি দেশের অবস্থাকে তুলে ধরে, কিন্তু আরো অনেকগুলো দেশেও নির্যাতন ও অন্যান্য নিষ্ঠুর-আচরণের ঘটনা ঘটে থাকে৷

সংগঠনটি কয়েক দশকের নির্যাতন লিপিবদ্ধ করেছে, যাতে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে এমন পরিস্থিতিসমূহ যেখানে সরকারগুলো সন্ত্রাসের হুমকিকে আবাহন করেছে যাতে এর ব্যবহারের পক্ষে সাফাই গাওয়া যায়৷ কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সন্ত্রাসবাদ দমনের নামে দেশগুলো কর্তৃক গৃহীত ব্যবস্থাগুলো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করার প্রতি সম্মানকে দুর্বল করার হুমকি দেয় এবং এর গুরুত্ব অনুধাবনকে জোরদার করার প্রয়োজনীয়তা প্রদর্শন করে৷

এ সম্পর্কে আরো পড়ুন ‍এখানে

  • Tweet


  

২ টি মন্তব্য/প্রতিক্রিয়া এসেছে এ পর্যন্ত:

  1. ১
    রায়হান রশিদ রায়হান রশিদ লিখেছেন:
    ২০ নভেম্বর ২০০৮, ursday সময়: ৮:৩১ অপরাহ্ন
    [মন্তব্য-লিন্ক]

    অত্যন্ত দরকারী এই বিষয়টি নিয়ে লিখবার জন্য সংশপ্তককে ধন্যবাদ। আপনার লেখাটির পাশাপাশি প্রাসঙ্গিক কয়েকটি বিষয় উল্লেখের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছি:

    ক.
    বাংলাদেশ সংবিধানের মৌলিক অধিকার সম্বলিত তৃতীয় ভাগের ৩৫(৫) অনুচ্ছেদে বলা আছে:

    কোন ব্যক্তিকে যন্ত্রণা দেওয়া যাইবে না, কিংবা নিষ্ঠুর, অমানুষিক বা লাঞ্ছনাকর দন্ড দেওয়া যাইবেনা কিংবা কাহারও সহিত অনুরূপ ব্যবহার করা যাইবেনা।

    আন্তর্জাতিক আইনের আওতায়, সার্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণা ছাড়াও জাতিসংঘে ১৯৮৪ সালে Convention against Torture and Other Cruel, Inhuman or Degrading Treatment or Punishment (Torture Convention) গৃহীত হয়, যেটি ১৯৮৭ সাল থেকে বাস্তবায়নের জন্য বলবত হয়েছে। এটির উল্লেখ জরুরী কারণ, বাংলাদেশ সরকার জাতিসংঘের এই কনভেনশনটিতে স্বাক্ষর করেছে ১৯৯৮ সালে। ফলে এর নীতিমালার পূর্ণ বাস্তবায়ন করতে আমাদের সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ হয়েছে। এছাড়াও ২০০০ সালে বাংলাদেশ সরকার স্বাক্ষর করেছে জাতিসংঘের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দলিলে ‌- International Covenant on Civil and Political Rights।

    এর অর্থ হল, সংবিধানে মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতির পাশাপাশি আন্তর্জাতিক এই দলিলগুলোতে স্বাক্ষরের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকার “নির্যাতন” রোধে এবং এর প্রতিকারে আইনগতভাবে দায়বদ্ধ। সুতরাং, “নির্যাতন” ইস্যুটিতে প্রতিটি বাংলাদেশী নাগরিকের আইনগত সুরক্ষা/অধিকার এবং সরকারের দায়বদ্ধতার বিষয়টি নিয়ে কোন ধরণের মতদ্বৈততার অবকাশ নেই। এ বিষয়ে আরো তথ্য পাওয়া যাবে এখানে।

    খ.
    Torture Convention এর আওতায় জাতিসংঘে একটি ফোরাম গঠন করা হয়েছে যেটির নাম Committee Against Torture (অনুচ্ছেদ ১৭)। কনভেনশনে স্বাক্ষরকারী রাষ্ট্রপক্ষগণ এই কমিটির কাছে প্রতি চার বছর অন্তর অন্তর নিজেদের অগ্রগতি (নির্যাতন রোধে) জানিয়ে প্রতিবেদন পেশ করতে দায়বদ্ধ (অনুচ্ছেদ ১৯)। সে বিচারে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে এতদিনে অন্তত দু’টি প্রতিবেদন পেশ হয়ে যাওয়ার কথা। সংশপ্তকের কাছে সনির্বন্ধ অনুরোধ থাকবে, যদি সম্ভব হয় বাংলাদেশ সরকারের পেশকৃত এই প্রতিবেদন দু’টির ওপর সমালোচনা ও নিরীক্ষামূলক কিছু একটা লেখার। কারণ, অপারেশন ক্লিন হার্ট, কিংবা “র‍্যাব”, ডিজিএফআই এর ব্ল্যাকহোল ইত্যাদি এত কিছু ঘটে যাবার পরও বাংলাদেশ সরকার কিভাবে তার নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করে তা জানতে আমরা বিশেষভাবে আগ্রহী।

    সরকারপক্ষের অফিশিয়াল প্রতিবেদন ছাড়াও, যতদূর জানি, মানবাধিকার সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকেও Shadow Report প্রস্তুত করা হয়। এই রিপোর্টটিতে সাধারণত সে সব বিষয় উঠে আসে যা সরকার পক্ষের রিপোর্টে স্থান পায়না। সে অর্থে শ্যাডো রিপোর্টটি এক ধরণের সমালোচনামূলক রিপোর্ট। জাতিসংঘের কমিটিতে দু’টো রিপোর্ট পাশাপাশি রেখে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হয়ে থাকে। সংশপ্তকের কাছে এ-ও অনুরোধ থাকবে সরকারের রিপোর্টের সাথে শ্যাডো রিপোর্টগুলোর তুলনামূলক বিচার নিয়ে একটা লেখা দাঁড় করানোর। তাতে অনেক কিছু জানতে পারবো আমরা সবাই।

    আবারো ধন্যবাদ।।

    প্রত্যুত্তর
  2. ২
    সংশপ্তক লিখেছেন:
    ২১ নভেম্বর ২০০৮, friday সময়: ১০:২৪ পূর্বাহ্ন
    [মন্তব্য-লিন্ক]

    ধন্যবাদ রায়হান,
    আপনি বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরেছেন। আমি চেষ্টা করছি যত শীঘ্র সম্ভব ‍এই বিষয়গুলোর ‍উপর কিছু লিখতে।
    ধন্যবাদসহ,
    সংশপ্তক

    প্রত্যুত্তর

আলোচনায় অংশগ্রহণ করতে নিচের মন্তব্য-ফর্ম ব্যবহার করুন, অথবা, লগ-ইন করা অবস্থায় মন্তব্য করুন:

>>প্রত্যুত্তরটি না পাঠাতে মনস্থির করলে "এখানে" ক্লিক করুন<<


অভ্র প্রভাত ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয় ইংরেজি
------------(মাউস ক্লিক করে বাংলা লিখুন)------------
ক খ গ ঘ ঙ চ ছ জ ঝ ঞ ট ঠ ড ঢ ণ
ত থ দ ধ ন প ফ ব ভ ম য র ল শ ষ
স হ ক্ষ ড় ঢ় য় ৎ ং ঃ ঁ । ॥ ৳ র-ফলা‌‌‌
অ আ ই ঈ উ ঊ ঋ এ ঐ ও ঔ     য-ফলা
  া ি ী ু ূ ৃ ে ৈ ো ৌ     রেফ
  ০ ১ ২ ৩ ৪ ৫ ৬ ৭ ৮ ৯     ZWNJ
স্পেসবার নতুন লাইন যুক্ত করুন/হসন্ত ZWJ

==নিয়মাবলি==
* ভাষা: মন্তব্যের ভাষা হওয়া উচিত (মূলত) বাংলা — অবশ্যই বাংলা হরফে। আর ভাষারীতি লেখ্যভাষা হিসেবে প্রচলিত প্রমিত বাংলা হওয়াই শ্রেয়।
** মডারেশন: মন্তব্যের ক্ষেত্রে এখানে প্রাক-অনুমোদন মডারেশনের চর্চা নেই। তবে যে-সব কারণ উপস্থিত থাকলে প্রকাশিত মন্তব্য বিনা নোটিশে (এবং কোনো ধরণের কারণ-দর্শানো ছাড়াই) পুরোপুরি মুছে দেয়ার বা আংশিক সম্পাদনা করার অধিকার "মুক্তাঙ্গন" সংরক্ষণ করে, সেগুলো হলো: (ক) সাধু এবং চলিত রীতির সংমিশ্রণ; (খ) ত্রুটিপূর্ণ বানানের আধিক্য; (গ) ভাষার দুর্বল, আঞ্চলিক, অগ্রহণযোগ্য বা ছাপার অযোগ্য প্রয়োগ; (ঘ) ব্যক্তিগত আক্রমণ প্রবণতা, ছিদ্রান্বেষণ ও কলহপ্রিয়তা; (ঙ) অপ্রাসঙ্গিকতা ও বক্তব্যহীনতা। এ ব্যাপারে মডারেশন টিমের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে। তাই, চূড়ান্তভাবে পেশ করার আগে "প্রাকবীক্ষণ"-এর মাধ্যমে নিজ-মন্তব্যের প্রকাশিতব্য রূপ যাচাই করে নিন।

==নিবন্ধিত লেখকদের প্রতি==
লেখকের নিজস্ব পাতার প্রকাশিত কাজের তালিকায় আপনার পেশ করা মন্তব্যের নির্ভুল অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করতে 'লগ-ইন' করা অবস্থায় মন্তব্য করুন।

==প্রকাশিত বক্তব্যের/মতামতের দায়ভার==
পোস্ট কিংবা মন্তব্যে প্রকাশিত বক্তব্য কোন অবস্থাতেই মুক্তাঙ্গন ব্লগের নিজস্ব মতামতের বা অবস্থানের পরিচায়ক নয়। বক্তব্যের দায়ভার লেখক এবং মন্তব্যকারীর নিজের। শুধুমাত্র "মুক্তাঙ্গন" নামের আওতায় প্রকাশিত বক্তব্যই ব্লগের সামষ্টিক অবস্থানকে নির্দেশ করবে।

কপিরাইট © ২০০৮ মুক্তাঙ্গন | ওয়ার্ডপ্রেস নির্ভর "মুক্তাঙ্গন" এর থীম রিফিউলড.নেট এর সৌজন্যে